অধঃপতন, কার?
সে দিন দেখা হল এক গণিকার সাথে
শুনছিলাম
তার হৃদয় ভাঙ্গার কথা,
দেখছিলাম
তার চোখের হাজার ব্যাথা।
কিছুক্ষণ
পর, রাস্তার ওপারে হুজুরের সাথে আমার মুসাফা,
তাই
বলে শেষ পর্যন্ত তুমি কি না এক গণিকার সাথে, তাও আবার জনসম্মুখে
ছিঃ
ছিঃ ছিঃ
একি
অধঃপতন তোমার!
আমি
বললাম হুজুর বিশ্বাস করেন,
তার
বুকে পাহাড় সমান ব্যাথা,
শরীরে
হাজার হাতের ছোঁয়া,
কাটিয়েছে
রাত না জানি কত কারো সাথে.....
বিশ্বাস
করেন এখন তার ভাঙ্গা হৃদয়ে ঈশ্বরের বসবাস আছে,
তাইতো
বলল সে আমায়
যাও
বাছা, মাগরিবের আজান পড়েছে।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ধুপকাঠি
প্রিয়তমা, কোন এক শীতল ভোরে
তোমার
ঘুম ভাঙ্গবে
আমার
লাশের পাশে জ্বালানো ধুপকাঠির ঘ্রাণে।
প্রিয়তমা, সে দিন তোমার
রূপে আর যৌবনে শুভ্রের ছোঁয়াতে আসবে পরিবর্তন।
সে
পরিবর্তন আমি দেখব না।
প্রিয়তমা, বিশ্বাস কর এক
বুক না দেখার তেষ্টা নিয়ে আমি তোমার মাঝ থেকে গত হব।
হয়তোবা
তুমি তা জানবে না।
প্রিয়তমা, তোমার সাথে
আমার শেষ কথোপকথন সে বহু বছর পূর্বে,
সে
কথোপকথন আজ হয়তোবা তোমার ঘরের কোন এক কোণে,
ধুলোয়
গা ঢাকা দিয়ে পড়ে আছে নিদ্রায়।
প্রিয়তমা
জানো.....?
সে
কথোপকথনগুলোও ভাসবে নিদ্রা ছেড়ে আমার লাশের পাশে রাখা ধুপকাঠির ঘ্রাণে।
প্রিয়তমা
জানো.....?
তোমার
দেয়া সুনীল, গোস্বামী, রুদ্র আজও আমার খুব প্রিয় যেমনটা ছিল
তোমার দিনে।
প্রিয়তমা,
পড়তে
ভুলে গেছি,
আওড়াতেও
ভুলে গেছি,
বিশ্বাস
কর, আমি ভুলে গেছি।
প্রিয়তমা
তোমার কি মনে আছে বোরহানের কথা, মনে আছে শুভ্রদার কথা..........?
এখন
বোরহান আমাকে সুনীল আর রুদ্রের কবিতা শুনায়
এখন
শুভ্রদার গিটারের স্ট্রিংয়ে আমি
খুঁজে
পাই তোমাকে,
খুঁজে
পাই আমাকে,
খুঁজে
পাই আমাদের...........
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন