হুলুস্থুল
অসুখে পড়েছি, চিরুনিতে সিঁথি কাটতে ভুলে গেছি,
হুলুস্থুল
অসুখে পড়েছি, বিরাট স্টেইজে মাতাল রকস্টার হতে ভুলে গেছি,
হুলুস্থুল
অসুখে পড়েছি, সার্কাসপ্রেমী মানুষের অষ্টরম্ভা মুখ দেখে বিরক্তি লাগে এখন,
হুলুস্থুল
অসুখে পড়েছি, মিলিটারির বুটের আওয়াজ শুনে প্রশস্ত বুকে তাকাই এখন
ধার
চাই আমার এখন, অদ্ভুত বিশাল সব ধার!
হাসপাতালের
রুগ্ন বেড ধার চাই,
ময়নাবিবির
ফেলে দেওয়া বোরখা ধার চাই।
পালাতে
হবে,
আফ্রিকা
থেকে সোজা চলে যাব ভূগোল বইয়ের পাতায়।
এখানে
থাকা যাবে না, অসুখে আমার জেলও হতে পারে!
লেফট
রাইট,
লেফট
রাইট,
লেফট
রাইট।
পিঁপড়েরা
বিদ্রোহ করছে, যাদের মৃত্যু আমার কর্ম নয় বলে কখনো মারিনি।
বোয়াল
হাঙ্গর ধেয়ে আসছে, যাদের ভয়ে সমুদ্রে নামি নি কখনো।
খরস্রোতা
উল্টো পথে হাঁটা দিয়েছে যার তীর আমার বড্ড আপনজন!
মালতী
বলে দিয়েছে,“আর কখনো এসো না এখানে”।
যাকে
কিনা প্রথম উপার্জনের শাড়িটি দিয়েছিলাম।
পালাতে
হবে, সম্ভাব্য অবস্থান জানি না, কিন্তু পালানো চাই,
নয়তো
ঝাঁঝরা পাঞ্জাবিটা দেখে আগুন জ্বলবে উপত্যকার ভাল্লুকের আসরে।
আমার
বাবার পেনশনে কিনে দেওয়া পাঞ্জাবি!
নিজের
পরিণতির পাশে শকুনের নিঃশ্বাস কল্পনায় করা যায় না!
ধুপকাঠি
আমার পছন্দের গন্ধ, তবে অবস্থানভেদে নয়
মাথায়
খুলি আমার অক্ষত রাখাই চাই,
ভীষন
মাইগ্রেনে যখন দেখি পাতাল ফেড়ে
উঠে আসছে সাপ।
আর
আমি আটকাতে গেলেই আমি অসুস্থ,
যে
যেদিকে পারছে খুবলে নিতে চাই!
নিঃশ্বাসের
কি কোনো মূল্যই নেই?
ফোর্স
গঠিত হচ্ছে, যাদের কাজ ইট ভেঙ্গে ভেঙ্গে
সূদৃঢ়
দালানের আতিশয্যে হেলিয়ে পড়া!
আমার
মতো আরো যারা গোপন অভিসারী
তাদের
মস্তক সুধীমন্ডলীর একান্তই কাম্য কিনা!
আমাদের
গান যুদ্ধের নয়, প্রতিষ্ঠার!
আমাকে
যারা ধার দিতে চেয়েছিলো
তাদের
দেখেছি রায়বাজারের মুখে,
চাটাইয়ে
শুয়ে আকাশ দেখছে!
আকাশে
বুঝি বৃষ্টি, মেঘ এরাই সব!
শিশ্নের
আগায় হালকা রোদ ছোঁয়া ঘাম
এও
যে আকাশের কীর্তি!
একে
বলি আমরা সংগ্রাম!
আমি
এখন হুলুস্থুল অসুখে পড়েছি,
রাইফেল
দেখলে
আমার
মালতীকে দেওয়া ফুল ভেবে বসি।
আমি
এখন হুলুস্থুল অসুখে পড়েছি
ট্রলারে
ট্রলারে লাশ ভেবে বসি!
পালাতে
হবে,
পালাতেই
হবে আফ্রিকার দিকে!
যে
নদীর পাড়ে গা ডুবিয়ে বসে থাকা যায়।
অসুস্থ
শুনে সবাই রাইফেলের আগায় মৃত্যুই চাইল
অসুস্থতার
কারণ কেউই জানলো না!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন